1. admin@www.independentbd.news : independentbd.news : News Desk
  2. sheikhnadir81@gmail.com : sk deen mahmud : sk deen mahmud
আপিল বিভাগে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় বহাল - independentbd.news
শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
২০ কেজি গাঁজাসহ রাজাপুরে আরিফ নামে এক যুবক আটক পাইকগাছায় ৮ দলীয় হা ডু-ডু’র ফাইনাল খেলায় লস্কর একাদশ চ্যাম্পিয়ান সবার মাঝে দেশের উন্নয়নে কাজ করার মানসিকতা থাকা দরকার -সিটি মেয়র পুলিশ সুপার রবিউল ইসলামের মর্যাদাপূর্ণ পিএসসি কোর্স সম্পন্ন মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের স্মৃতি ফিরছে সিলেটে, জয় থেকে মাত্র ৩ উইকেট দূরে টাইগাররা পাইকগাছা-কয়রা বাসীর উদ্দেশ্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর খোলা চিঠি বিএনপির কেন্দ্রীয় ১৫ নেতাসহ সাবেক ৩০ এমপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জেল থেকে বেরিয়ে নৌকা প্রতীক পেলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর খুলনায় ছয়টি আসনে ৫৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল নীলফামারী-৪ আসন: ৯ জনের মনোনয়ন দাখিল- আ’লীগ জাপার একাধিক প্রার্থী

আপিল বিভাগে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায় বহাল

ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডেস্ক:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে
jamaiat-9486

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে জামায়াতের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রোববার (১৯ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।

শুনানির শুরুতে জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে সময় প্রার্থনা করেন অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান। তখন আপিল বিভাগ বলেন, আপনাদের সময় আবেদন খারিজ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ ঘোষণা করছি।

মূল মামলার আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে চলা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটির মিছিল-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন ও জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন গ্রহণ করেননি সর্বোচ্চ আদালত।

জামায়াতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিটকারী মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ তিনজন হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ করার বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সভা, জনসভা বা মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ১০ বছর পর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে এ বছরের জুন মাসে পৃথক আবেদন করেন।

২৬ জুন আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী আবেদনগুলো শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। এর মধ্যে আরও ৪২ জন পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেন। যারা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্টজন।

সেদিন আইনজীবী তানিয়া আমীর বলেছিলেন, আমরা দুটি আবেদন করেছি। একটি হচ্ছে হাইকোর্টের রায় বলবৎ থাকার পরও ১০ বছর পর জামায়াতে ইসলামী কর্মসূচি পালন করেছে। আরেকটা আদালত অবমাননার। কারণ তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন যেখানে আদালত অবমাননার বিষয় রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনে নির্বাচন কমিশন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নিবন্ধিত দলগুলোই কেবল নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। ওই বছরের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন।

এর কয়েক মাস পর ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি।

২ দিন পর ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

রুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ (বি) (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দুইবার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দুইবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় জামায়াত। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।

পরে ২০১৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনকারীরা রুল শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠন করতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৫ মার্চ আবেদনটি বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। ১০ মার্চ সাংবিধানিক ও আইনের প্রশ্ন জড়িত থাকায় বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন দ্বৈত বেঞ্চ। ওইদিন প্রধান বিচারপতি তিন বিচারপতির সমন্বয়ে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে দেন।

২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হলে যেকোনো দিন রায় দেবেন বলে জানিয়ে অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।

পরে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।

এ রায়ের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আবার আপিল করে। ওই আপিল শুনানিতে উদ্যোগ নেয় রিটকারী পক্ষ। সে অনুসারে আপিলটি চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি কার্যতালিকায় ওঠে।

এরপর ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে আজ আপিলটি খারিজ করা হলো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইন্ডিপেন্ডেন্টবিডি আইটি টিম

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত: ইন্ডিপেন্ডেন্টবিডি মিডিয়া কর্পোরেশন লিঃ