মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর::
সৈয়দপুরে করোনাকালে বরাদ্দ হওয়া এলজিসিআরআরপি প্যাকেজের কোভিড -১৯ প্রকল্পের সিসি রোড,আরসিসি রোড, ড্রেন ডাস্টবিন ও কবরস্থানের বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হওয়া এসব উন্নয়নমূলক কাজ অচিরেই শেষ হবে বলে পৌরসভার প্রকৌশল দপ্তর সুত্রে জানা গেছে। এজন্য পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের নির্দেশে পৌরসভার প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তারা প্রকল্পের কাজগুলোর গুণগতমান বজায় রাখতে দেখভাল অব্যাহত রেখেছেন।
সুত্র জানায়, লোকাল গভর্মেন্ট কোভিড-১৯ রেসপন্স এন্ড রিকোভারি প্রজেক্ট (এলজিসিআরআরপি) এর আওতায় করোনাকালে ১৩ টি প্যাকেজে ৪৪ টি উন্নয়ন কাজের বিপরীতে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ মেলে সৈয়দপুর পৌরসভায়।
এরমধ্যে সিসি রোড,আরসিসি রোড,ড্রেন নির্মাণ, কবরস্থানের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মানে ১২ টি প্যাকেজে ৪৩ কাজের বিপরীতে ৪ কোটি ৪ লাখ ও সৈয়দপুর পৌর এলাকা ১ থেকে ৫ নং ওয়ার্ডে ৫টি আধুনিক ডাস্টবিন নির্মাণে অপর প্যাকেজে ১৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ জন্য টেন্ডারসহ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয় ওইসব কাজ। পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লায় মানুষজনের চলাচলের সুবিধায় গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো সিসি ও আরসিসির মাধ্যমে পাকাকরণ, পাড়া মহল্লার জলাবদ্ধতা নিরসণে ড্রেন নির্মাণ এবং কবরস্থানের নিরাপত্তায় বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান করা হচ্ছে।
এসব কাজের অগ্রগতি ও গুনগতমান দেখতে পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের নেতৃত্বে পৌর কাউন্সিলর ও পৌরসভার প্রকৌশলীরা প্রতিটি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করছেন।
পরিদর্শনকালে মেয়রের সাথে থাকছেন সচিব মো. সাইদুজ্জামান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম, প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, আব্দুল খালেকসহ অন্যান্যরা।
প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা জানান, দেরিতে হলেও এলাকার রাস্তাঘাট নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় তারা খুশি। এজন্য বর্তমান পৌর পরিষদকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারা বলেন শহরের অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট নির্মাণ করা খুবই জরুরী। আর বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বর্তমান পরিষদের প্রতি।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন কোভিড-১৯ প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে শতকরা ৮০ ভাগ এসব উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে এবং অচিরেই বাকি কাজ সম্পন্ন হবে।
এ বিষয়ে কথা হয় মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের সাথে।তিনি বলেন, পৌর এলাকার উন্নয়নে তার পরিষদ বদ্ধ পরিকর। কাউন্সিলরদের মাধ্যমে এলাকার সকল সমস্যা অবগত হচ্ছেন এবং তা সমাধানে পরিষদের মাসিক সভায় উপস্থাপন করাসহ এলাকার উন্নয়নে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তবে তিনি বলেন, কিছু জটিলতার কারণে পৌর এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। এখন সে সমস্যা আর নেই। পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ধারাবাহিক ভাবে চলবে উন্নয়ন কাজ।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শহরের তামান্না সিনেমা হল মোড় থেকে ওয়াপদা মোড়, শহীদ তুলশীরাম সড়কের শহীদ জহুরুল হক সড়ক মোড় থেকে বসুনিয়া পাড়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়াও অন্যান্য সড়কের নির্মাণ ও মেরামত কাজ শুরুর বিষয়ে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এসব কাজের বিপরীতে অনুমোদন এলেই দ্রুত টেন্ডারের মাধ্যমে সড়কগুলোর কাজ শুরু করা হবে। এজন্য তিনি পৌরবাসীকে একটু ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইন্ডিপেন্ডেন্টবিডি আইটি টিম