রাজশাহীর বাগমারায় নরদাশ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কাজেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই সড়কের দুই পাশে লাগানো ১২টি সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করা ৪ লাখ টাকা পকেটে ভরেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে এখন চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার লোকজন অভিযোগ করে জানান, নরদাশ ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য কাজেম উদ্দিন।
১২ জুলাই বুধবারও ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় আ.লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে করাত দিয়ে মাদিলা ভেদুর মোড়-বাঁধের হাট সড়কের বেনিপুর ও জয়পুরা এলাকায় গ্রামীণ সড়কের দুইপাশে লাগানো ১২টি মেহগনি, নিম ও বাবলা গাছ কেটে ফেলেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য কাজেম উদ্দিন জানান, সড়কের পাশে গাছগুলো থাকার কারণে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হওয়ায় গাছগুলো কাটা হয়েছে।
স্থানীয় এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে গাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন ইউপি সদস্য কাজেম উদ্দিন প্রায় ৪ লাখ টাকা পকেটে ভরেন বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন। জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে নরদাশ ইউনিয়নের মাদিলা ভেদুর মোড় থেকে বাঁধের হাট পর্যন্ত সড়কের দুইপাশে এই গাছগুলো লাগানো হয়েছিল। গাছগুলো সড়কের পাশে থাকায় কোনো সমস্যা ছিল না। বরং সড়কের ছায়াসহ শোভাবর্ধন করছিল।
অথচ ইউপি সদস্য কাজেম উদ্দিন গাড়ি চলাচলে সমস্যা হওয়ায় অজুহাত দেখিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম আবু সুফিয়ান বলেন, স্থানীয় লোকজন এ ঘটনায় মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে।
নরদাশ ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সম্পাদক গোলাম সারোয়ার আবুল জানান, গাছগুলো অনেক আগেই মরে গিয়েছিল তাই সেগুলো কাটা হয়েছে।
ওয়েবসাইট নকশা প্রযুক্তি সহায়তায়: ইন্ডিপেন্ডেন্টবিডি আইটি টিম