মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি::
সরকারি চাকরির নীতিমালা অনুযায়ী একই ব্যক্তি সরকারি চাকরিতে কর্মরর্ত থাকা অবস্থায় অবসর গ্রহনের পূর্বে অন্য কোন চাকরি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাথে জড়িত হতে পারেন না। কিন্তু তিনি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই সরকারি চাকরির পাশাপাশি একটি ডায়গনষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক হিসাবে চাকরি করেন। লোক মুখে শোনা যায় তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী অংশীদারও। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় সিভিল সার্জন মহোদয় বিষয়টি অনেকে আগে থেকে অবহিত থাকলেও, অদৃশ্য কারনে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। সরকারি চাকরির পাশাপাশি ডায়গনষ্টিক সেন্টারে চাকরি করা ব্যক্তিটি হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কাযার্লয়ের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) মোঃ ছাদেক হোসেন বেপারী।
তিনি সরকারি চাকরি বিধি উপেক্ষা করে একই সাথে সরকারি চাকরির পাশাপাশি মুন্সীগঞ্জ শহরের ফেমাস হেলথ কেয়ার নামে একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক হিসাবে দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্ব পালন করে আসছেন । গুঞ্জন আছে চাকরির কয়েক বছরের মধ্যে হয়েছেন বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক। মুন্সীগঞ্জে কিনেছেন ফ্লাট।
এই বিষয়ে ফেমাস হেলথ কেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রিফাত জানান, ছাদেক সাহেব আমার চাচা হন। তাই এই খানে সময় দেন।
টেকনোলজিস্ট মোঃ ছাদেক হোসেন বেপারী বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি মহোদয়ের নির্দেশনা আছে। তাছাড়া আমার সিভিল সার্জন অফিস থেকে লিখিত অনুমতি নেওয়া আছে।
এই বিষয়ে সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মাহাবুবুর রহমান জানান, একজন সরকারি চাকরিজীবি বিধি মোতাবেক অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারেন না। তিনি কিভাবে করছেন কিংবা তাদের অন্য কোন নীতিমালা আছে কিনা এই বিষয়ে আমার জানা নেই।
সরকারির চাকরির পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মঞ্জুরুল আলম জানান, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কোন অবস্থাতেই অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ নেই। অমার জানা মতে, ছাদেক সাহেব ফেমাস হেলথ কেয়ারে চাকরি করেন না। তিনি ফেমাস হেলথ কেয়ারের ব্যবসায়ী অংশীদার।
লিখিত অনুমোদনের বিষয়ে তিনি বলেন, সিভিল সার্জন অফিস থেকে কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
একজন স্বাস্থ্য বিভাগের সরকারি চাকরিজীবি চাকরিরত অবস্থায় কোন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ব্যবসায়ীক অংশীদার হতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না পারেন না।
তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি কেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আপনি লিখিত অভিযোগ দেন, তদন্ত করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে।