নিজস্ব প্রতিবেদক, (পাইকগাছা) খুলনা::
বেতগ্রাম- তালা-পাইকগাছা- কয়রা সড়ক যথাযথ মানে উন্নতিকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারী) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী সংযুক্ত ছিলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি (অতিরিক্ত সচিব) মহাপরিচালক কানিজ মওলা।
এতে সভাপতিত্ব করেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তানিমুন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমডি (উপসচিব) উপ-পরিচালক মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভার্চুয়াল সংযুক্ত আইএমডি (উপসচিব) পরিচালক মোছা. নাজমা নাহার, ইউএনও ও প্রশাসক মাহেরা নাজনীন, টিম লিডার ইঞ্জি. মো. আবুল কাদের, উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাফিন শোয়েব, ইঞ্জি. শফিকুল ইসলাম।
ইএসিআর সার্ভিসেস এর নির্বাহী পরিচালক ইয়াসিন আরাফাত এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃব্য রাখেন, এসডিই-১, আরএইচডি সাগর সৈকত মন্ডল, এসএই-১ আরএইচডি মো. রাশিদুল রেজা, পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক সেলিম রেজা লাকি, শিক্ষক মো. সাইদুর রহমান, ষোলআনা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জিএম শুকুরুজ্জামান, ঠিকাদার শফিয়র রহমান, সাইফুল ইসলাম, মো. আ. সালাম, পরিবহণ সমিতির সেক্রেটারি মো. আবু সাদ, সাহাজাহান কবির, ইমাম মো. আবুল হাসান, হুরায়রা বাদশা, রতœা, নাজনীন নাহার প্রমুখ।
এসময় পরিবহন সমিতির সদস্য, শিক্ষক শিক্ষার্থী, ঠিকাদার, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, “বেতগ্রাম-তালা-পাইকগাছা-কয়রা সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক প্রকল্প প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুন ২০২৫ পযর্ন্ত বাস্তবায়নকাল নির্ধারণ করা হয়। ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৫৭.০৫% (২১,৬৫১ লক্ষ টাকা) এবং ভৌত কাজের অগ্রগতি ৬৪.৫০%।
কর্মশালায় সড়ক নির্মাণ কাজের মান উন্নয়ন, দুই লেন-এ উন্নীতকরণ, বাক সরলীকরণ, কাজের ধীর গতি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ নানা বিষয় উঠে এসেছে। কপিলমুনি ও আগড়ঘাটাসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার রাস্তা ভেঙ্গে পড়েছে, যা দ্রুত মেরামত করা অত্যন্ত জরুরি। অংশীজনগণ মনে করেন, এ রাস্তাটির কাজ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন। তারা আরও উল্লেখ করেন যে, রাস্তার বাঁকগুলো সরলীকরণ করা এবং রোড সাইনগুলো দৃশ্যমান করা হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পাবে।
তাদের মতে, রাস্তার উন্নয়ন সম্পন্ন হলে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য কার্যক্রমের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। বিশেষ করে মৎস্য ও তরমুজসহ কাঁচামাল ব্যবসার মতো স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও বিস্তৃত ও সমৃদ্ধ হবে।