1. admin@independentbd.news : admin :
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বিজিবি সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল ব্যবহারের অনুমতি পেল ট্রাম্প শাসনামলে ভারত কি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রভাব খাটাতে পারবে? হামাসের কাছে পরাজয় স্বীকার করলেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দপুরে ১২ শ শীতার্ত নারী পুরুষকে শীতবস্ত্র দিল পৌরসভা পাইকগাছায় অভিযানে ৭ লক্ষাধিক চিংড়ি পোনা জব্দপূর্বক অবমুক্ত কয়রায় ভিডব্লিউবি কর্মসূচীর সেবা মূল্যায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা সৈয়দপুরে শহীদ জিয়ার ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত কয়রায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালন গাইবান্ধায় মিথ্যা মামলা ও ছোট বোনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন পাঁচগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত ও দোষীদের গ্রেফতার চেয়ে ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন

কয়রা শাকবাড়িয়া খালের উপর সেতু নির্মাণে দূর হল অনিশ্চয়তা, দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

  • প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২৫ বার পঠিত
koyra-297

রিয়াছাদ আলী, (কয়রা) খুলনা ::


খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া খালের দু’ই পাড়ের দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা ছাত্র-জনতার যৌথ প্রচেষ্ঠায় উচ্ছেদ হয়েছে।

যার ফলে খালের উপর সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করতে আর বাঁধা রইলো না। দির্ঘদিন অবৈধ স্থাপনা সরাতে না পারায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এসএ-জেডটি জেভি’ সেতু নির্মান প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে চলে যায়। প্রায় ২ বছর ধরে জায়গা দখলমুক্ত করার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় তারা এই সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে প্রশাসনের সহযোগিতায় শাকবাড়িয়া খালের দক্ষিন পাশ দখলমুক্ত হলেও উত্তর পাশে দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা সরানো সম্ভব হয়নি।

অবশেষে গত ৬ জানুয়ারী ছাত্র-জনতার যৌথ প্রচেষ্ঠায় শত শত মানুষের উপস্থিতে উত্তর পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

জানা গেছে, কয়রা সদর হতে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি জিসি সড়কটি মহারাজপুর ইউনিয়নের বড়ব্রিজ নামে পরিচিত। শাকবাড়িয়া খালের উপর এই সেতুটি এলাকাবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। শুরু চরম দুর্ভোগ যার ফলে কয়রা সদর হতে মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর,আমাদী ও বাগালী ইউনিয়নের জনসাধারনের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং যানবাহন চলা-চল বন্ধ হয়ে যায়।

ব্রিজটির গুরত্ব বিবেচনা করে ২০২২ সালের ৩ আগস্ট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে ৩৬ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজের জন্য ‘এসএ-জেডটি জেভি’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। কিন্তু শাকবাড়িয়া খালের দু’পাড়ে দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়ায় কাজ শুরু করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেখানে দোকানপাট ও পাকা স্থাপনা গড়ে তুলে দখলে রেখেছিল। যার কারনে সেতুর নির্মাণ কাজ করা সম্ভব হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রেখে চলে যায়।

এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রার ছাত্র প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী বলেন, শাকবাড়িয়া খালের উপর সেতুটি নির্মিত না হওয়ায় মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর ও বাগালী ইউনিয়নের জনসাধারন দির্ঘদিন চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। অবৈধ স্থাপনার কারনে কোথাও উন্নয়ন মুলক কাজে বাঁধা সৃষ্টি হলে জনগনকে সাথে নিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখা হবে ।

কয়রা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ দারুল হুদা জানান, এতদিন শাকবাড়িয়া খালের দু’ পারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়ায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এখন উচ্ছেদ হয়েছে সে জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, এতদিন ব্রিজের দু’পারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়ায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এখন অবৈধ স্থাপনা ইচ্ছেদ হয়েছে সে জন্য এলজিইডিকে দ্রুত সেতু নির্মান কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুন...

এই বিভাগের আরও খবর...