1. admin@independentbd.news : admin :
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ভারতে বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা শার্শা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সকলেই সাব-ঠিকাদার! কালিগঞ্জে বন্ধন হসপিটালের উদ্বোধনে ইউএনও অনুজা মন্ডল তালায় জলাবদ্ধতা নিয়ে সাংবাদিক কর্মশালা কয়রায় মাওলানা মিজানুরকে সভাপতি ও শরিফুল ইসলামকে সম্পাদক করে ইমাম পরিষদের কমিটি গঠন খর্নিয়ায় ডিপো থেকেই চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ, অজ্ঞাত কারণে নীরব প্রশাসন কপিলমুনি বায়তুস সালাম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কমিটি গঠন খুলনায় দূবৃত্তের গুলিতে খুবির শিক্ষার্থী নিহত বিএনপির চেয়ে এক এগারোর ভয়াবহ পরিণতি বেশি কেউ ভোগ করেনি: মঞ্জু যশোরের সাগরদাঁড়ীতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধন

রাত পোহালেই জামায়াত আমীর ডা: শফিকুর রহমান আসছেন পাইকগাছা, সর্বত্র উৎসবের আমেজ

  • প্রকাশের সময়: বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৬ বার পঠিত
dr.safikur-191

শেখ দীন মাহমুদ ::


আজ ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান আসছেন সুন্দরবন উপকূলীয় নির্বাচনী এলাকা খুলনা-৬ (পাইকগাছা ও কয়রাতে)। তার আগমনকে কেন্দ্র করে দলের পাশাপাশি সাধারণের মধ্যে রীতিমত উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তিনি এদিন সকালে পাইকগাছার গদাইপুর ফুটবল ময়দানে এক পথ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করবেন। ইতোমধ্যে দল ও প্রশাসনের পক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপজেলাময় জামায়াতের পক্ষে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনার পাশাপাশি রাস্তায় রাস্তায় শোভাপাচ্ছে ব্যানার ও তোরণ। প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় তার আগমনকে সফল করতে মিছিল ও প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।

দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর পর জামায়াতের শীর্ষ নের্তৃবৃন্দ পর্যায়ের সমন্বয়ে কোন সমাবেশ আয়োজনে দলীয় নেতা-কর্মীরা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। এর আগে সর্বশেষ ২০০৮ সালে দলটির তৎকালিণ সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ পাইকগাছায় সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বক্তৃতা করেন। এরপর দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের আর কেউ পাইকগাছায় সফর করেননি। বড় কোন সমাবেশ আয়োজন করতে পারেনি শীর্ষস্থানীয় দলটি। গত প্রায় দেড় দশকে দলের শীর্ষ নের্তৃবৃন্দ থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কারাগার ও এলাকাছাড়া ছিল। মিথ্যা মামলায় অন্তত দেড় হাজার নেতা-কর্মী আসামী ছিলেন। এরমধ্যে ২/৩ শ’ নেতা-কর্মী বিনা বিচারে কারাভোগ করেছেন।

জেলা ইউনিটের সদস্য সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ কামাল হোসেন জানান, গত প্রায় দেড় দশকের দমণ-পীড়নসহ নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে সারাদেশের ন্যায় খুলনায় নতুন করে দল গোছাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো। নগরী ও জেলার পাশাপাশি উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ফের চালু করা হয়েছে দলীয় কার্যালয়। দমণ-পীড়নের দেড় দশকে কারাগার ও পালিয়ে থাকা নেতাকর্মী ফের এলাকায় ফিরে নতুন ইমেজে দলকে সংগঠিত হওয়ার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু করা হয়েছে।

বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রোগ্রামে তাদের সরব উপস্থিতি তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে সর্বশেষ দলীয় প্রধান ডা: শফিকুর রহমানের আগমনকে ঘিরে নবউত্থানে নতুন পালক যোগ হয়েছে।

দলীয় বিভিন্ন সূত্র জানা জনায়, গত দেড় দশকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও পুলিশি চাপে রাজনৈতিক কর্মকা- চালাতে হত অত্যন্ত সঙ্গোপনে। তবে সর্বশেষ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দলও এখন আর আগের অবস্থায় নেই। বর্তমানে রাজনৈতিক অনুকূল পরিবেশে দল অুীতের যেকোন সময়ের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে। দীর্ঘ হামলা-মামলা-নির্যাতনের পর এখন নির্বিঘেœ দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পেরে রীতিমত নেতা-কর্মীরাও উচ্ছ্বসিত। জানায়ায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে খুলনা ও তার বিস্তীর্ণ রাজপথে নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি দলটির শক্তিশালী অবস্থানের বিষয়টি জানান দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে গত ৪ মাসে ঈর্ষলীয় সভা-সমাবেশ করেছে জামায়াত। এ ছাড়া জেলা-মহানগর, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে খোলা হয়েছে দলীয় কার্যালয়। সেখান থেকে নিয়মিত রুটিন মাফিক পরিচালিত হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম।

গত ১৩ নভেম্বর মহানগর জামায়াতের ১৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানকে আমির ও শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালকে সেক্রেটারি করা হয়। একই মাসে জেলা জামায়াতেরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এতে মাওলানা এমরান হুসাইনকে আমির ও মুন্সী মিজানুর রহমানকে সেক্রেটারি করা হয়।

জানাযায়, এরআগে আওয়ামী লীগ নগরীর রয়্যাল মোড়ের জামায়াতের কার্যালয় ভাঙচুর এবং বন্ধ করে দেওয়ার পর গত ২ নভেম্বর সেখানে আবার সাইনবোর্ড দিয়ে দলীয় কার্যালয় চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ১৬ ডিসেম্বর নগরীর শামসুর রহমান রোডে ছাত্রশিবিরের কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।

অক্টোবর মাসে নগরী এবং জেলার উত্তর ও দক্ষিণ শাখা ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৬ ডিসেম্বর মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হয়েছে। ওই দিন ৩৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন থানা ও তৃণমূলে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, জেলায় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২৬৭টি মামলা ছিল। এর মধ্যে ১৬টি মামলা থেকে নেতাকর্মীরা খালাস পেয়েছেন। আরও ৫০টি মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। অন্যগুলোও নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যারা আত্মগোপনে ছিলেন, তাদের সবাই এলাকায় ফিরে দলীয় কর্মকা-ে সম্পৃক্ত হয়েছেন। তারা জনগণের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন। এদের সকলে দলের কঠোর নির্দেশনা মোতাবেক কেউ যাতে বিতর্কিত কোনো কর্মকা-ে জড়িয়ে না পড়েন, সে ব্যাপারে খেয়াল করা হচ্ছে।

দলীয় সূত্র জানায়, ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টায় উপজেলার গদাইপুর ফুটবল ময়দানে পথ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, দলটির সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওঃ কবিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য ও জেলা সেক্রেটারী মুন্সী মিজানুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারী মুন্সী মঈনুল ইসলাম, এড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও প্রিন্সিপাল গাওসুল আযম হাদী, মেডিকেল থানা ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর ডাঃ স.ম. খালিদুজ্জামান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওঃ আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের খুলনা জেলা দক্ষিণের সভাপতি মোঃ আবুজার আল গিফারী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এড. লিয়াকত আলী, জেলা সদস্য মাওঃ শেখ কামাল হোসেন, জেলা সদস্য কাজী তমজীদ আলম, প্রভাষক আব্দুল মোমিন সানা ও এড. আব্দুল মজিদ, পাইকগাছা উপজেলা নায়েবে আমীর মাওঃ বুলবুল আহম্মাদ, সেক্রেটারী মোঃ আলতাফ হোসেন, সহকারী সেক্রেটারী মাওঃ আব্দুল খালেক।

এছাড়াও দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ পথ সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশে সভাপতিত্বে করবেন পাইকগাছা উপজেলা শাখার আমীর মাওঃ সাইদুর রহমান।

জানায়ায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে খুলনা ও তার বিস্তীর্ণ রাজপথে নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি দলটির শক্তিশালী অবস্থানের বিষয়টি জানান দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে গত ৪ মাসে ঈর্ষলীয় সভা-সমাবেশ করেছে জামায়াত। এ ছাড়া জেলা-মহানগর, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে খোলা হয়েছে দলীয় কার্যালয়। সেখান থেকে নিয়মিত রুটিন মাফিক পরিচালিত হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম।

গত ১৩ নভেম্বর মহানগর জামায়াতের ১৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানকে আমির ও শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালকে সেক্রেটারি করা হয়। একই মাসে জেলা জামায়াতেরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এতে মাওলানা এমরান হুসাইনকে আমির ও মুন্সী মিজানুর রহমানকে সেক্রেটারি করা হয়।

জানাযায়, এরআগে আওয়ামী লীগ নগরীর রয়্যাল মোড়ের জামায়াতের কার্যালয় ভাঙচুর এবং বন্ধ করে দেওয়ার পর গত ২ নভেম্বর সেখানে আবার সাইনবোর্ড দিয়ে দলীয় কার্যালয় চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ১৬ ডিসেম্বর নগরীর শামসুর রহমান রোডে ছাত্রশিবিরের কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।

অক্টোবর মাসে নগরী এবং জেলার উত্তর ও দক্ষিণ শাখা ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৬ ডিসেম্বর মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হয়েছে। ওই দিন ৩৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন থানা ও তৃণমূলে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, জেলায় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২৬৭টি মামলা ছিল। এর মধ্যে ১৬টি মামলা থেকে নেতাকর্মীরা খালাস পেয়েছেন। আরও ৫০টি মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। অন্যগুলোও নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যারা আত্মগোপনে ছিলেন, তাদের সবাই এলাকায় ফিরে দলীয় কর্মকা-ে সম্পৃক্ত হয়েছেন। তারা জনগণের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন। এদের সকলে দলের কঠোর নির্দেশনা মোতাবেক কেউ যাতে বিতর্কিত কোনো কর্মকা-ে জড়িয়ে না পড়েন, সে ব্যাপারে খেয়াল করা হচ্ছে।

পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সবজেল হোসেন জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। সমাবেশকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলার সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, যাতে কোন প্রকারের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ সমাবেশস্থল পরিদর্শন করছেন এবং সার্বিকভাবে তাদের কার্যক্রম তদারকি করছেন।

খবরটি শেয়ার করুন...

এই বিভাগের আরও খবর...