সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি ::
অনুমোদন ছাড়া ইটভাটা গড়ে তোলাসহ ফসলী জমির মাটি কেটে ইট প্রস্তুত করার দায়ে সৈয়দপুরে তিন ভাটা মালিককে তিন লাখ টাকা অর্থদন্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নীলফামারী জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযানে সৈয়দপুরের তিনটি ইটভাটায় ওই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ইটভাটাগুলো হলো উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়া এলাকার এজাজ আহমেদের মেসার্স এ এস বি ব্রিকস, সুরেশ সিংহানিয়ার মেসার্স বিপিএল-২ ব্রিকস ও কামারপুকুর এলাকার মো. এরশাদুল ইসলামের মেসার্স এমএবি ব্রিকস।
সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন থেকে ওইসব ভাটা মালিক পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই ফসলী জমির মাটি কেটে ইট প্রস্তুত করে আসছিলেন।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সায়ীদ মুহাম্মদ এর নেতৃত্বে ভাটাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় ওইসব ইটভাটার বিরুদ্ধে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের দায়ে প্রত্যেক ভাটা মালিককে এক লাখ করে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এসময় পানি দিয়ে ভাটার আগুন নেভানে এবং পানি স্প্রে করে কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। এছাড়া কৃষি জমি থেকে ফসলী মাটি সংগ্রহ করে ইট উৎপাদন না করার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর, নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, নীলফামারী জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যবৃন্দ।
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ – আল- মামুন বলেন, অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।