খুলনা ব্যুরো ::
পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ গুম করার দায়ে খুলনার ডুমুরিয়ায় স্বামী ইব্রাহিম মোল্যাকে (৪৫) আটক করেছে থানা পুলিশ।
৩১ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খরসংগ গ্রামে এ নৃশংস ঘটনায় থানা পুলিশ তাকে আটক করে। এসময় পুলিশ তার বাড়ির টয়লেটের সেফটি ট্যাংকি থেকে স্ত্রী নাসিমা বেগম ওরফে ফন্টু (৪০) এর মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা রেকর্ড হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের খরসংগ গ্রামের ইব্রাহিম মোল্যা তার স্ত্রী নাসিমা বেগম ওরফে ফন্টুকে (৪০) ঘাড়ে সাবল দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর তার মরদেহ গুম করতে ঘাড় ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে বাড়ির টয়লেটের সেফটি ট্যাংকির ভিতর ফেলে দেয়। ঘটনার সময় বাড়িতে আর কেউ ছিল না। ইব্রাহিমের ছেলে বাপ্পি মোল্যা (১৭) খুলনার একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে এবং মেয়ে খাদিজা আক্তারের (২২) বিয়ে হয়ে গেছে। তিনি শ্বশুর বাড়িতে থাকেন।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, খবর পেয়ে ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে নাসিমার মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। আলামত হিসেবে হত্যা কাজে ব্যবহৃত সাবল, গামছা ও ওড়না জব্দ করেছে পুলিশ।
এদিকে স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে থাকা স্বামী ইব্রাহিমকে শনিবার সকালে পুলিশ তেরোখাদা থানা এলাকা থেকে আটক করেছে। নাসিমার ভাই রুদাঘরা গ্রামের শহিদুল গোলদার বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় ইব্রাহিম মোল্যাকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদ রানা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে ইব্রাহিম তার স্ত্রী নাসিমা বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। এরপর স্ত্রীর মরদেহ গুম করার জন্য টয়লেটের সেফটি ট্যাংকির ভিতরে রাখেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশের কাছে হত্যার সত্যতা স্বীকার করেছে।