পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের পিতার দখলে থাকা ৩৬ বিঘা চিংড়ি ঘের জমির মালিকদের মাধ্যমে ইজারাদার বুঝে নিয়েছেন। গত শনিবার সোলাদানা ইউনিয়নের খাটুয়ামারী এলাকায় ওই ঘের বুঝে নেয় ইজারাদার।
জমির মালিকরা দাবি করছে তাদের পৈত্রিক ও ক্রয় সুত্রে এবং প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের পিতা সাবেক ইউপি সদস্য রুহুলামীন সরদার দাবী করে আসছিলেন ডিসিয়ার মুলে। এ নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। সর্বশেষ এমন পরিস্থিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানাগেছে, গত শনিবার বিকেলে সোলাদানার বয়ারঝাপার মৃতঃ ওমর সরদারের ছেলে ঘের ইজারাদার জাহাঙ্গীর পক্ষ জমির মালিকদের সহয়তায় খাটুয়ামারীতে ৩৬ বিঘার চিংড়ি ঘের বুঝে নেয়। এ ঘটনায় স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমীন সরদার পরিবার ও জাহাঙ্গীর সরদার পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। রুহুল আমীন সরদার পরিবারের ঘের দখলের অভিযোগে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দু’ পক্ষকে স্ব-স্ব অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়ে কাগজপত্র নিয়ে থানায় ডেকে পাঠান।
জমির মালিকদের মধ্যে গোলবুনিয়ার মাখন সরদার,সোলাদানার উজ্জ্বল সরদারসহ জালাল-কবির গংদের অভিযোগ আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। বর্তমানে জরিপ আমাদের নামে হযেছে। আমাদের বৈধ কাগজপত্র থাকা স্বত্বেও সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল আমীন সরদার তার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ফাইমিনের ক্ষমতাবলে জোর করে জমি দখল করে চিংড়ি ঘের করতেন। এমনকি হারির টাকাও দিতেন না।
ইজারাদার জাহাঙ্গীর সরদার জানান, আমি ইংরেজী ২৫ সাল থেকে ৫ বছর মেয়াদী চুক্তিতে জমির মালিক পৌরসভার শেখ শহিদুল ইসলাম বাবলু, মাখন, উজ্বল, জিয়াদুল বিশ্বাস পরিবারের কাছ থেকে ৩৬ বিঘা ডিড নিয়ে তাদের সহায়তায় ঘেরের জমি বুঝে নিয়ে বাসা বেধে দখলে আছেন।
তিনি আরোও জানান, পুলিশ দু’পক্ষকে রবিবার সকালে কাগজ নিয়ে থানায় ডাকলেও রুহুল আমীন সরদার হাজির হয়নি।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতার পিতা রুহুলামিন সরদার জানান, ইতি পূর্বে তিনি জোর করে দখল করেননি। ডিসিয়ার মুলে ভোগদখল করে আসছিলেন। এ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচর্জি (ওসি) মোঃ সবজেল হোসেন জানান, দু’পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে ডাকা হলেও রুহুল আমীন সরদার সময় চেয়েছেন। তবে ন্যায্য হক থেকে কেউ বঞ্চিত হবেন না বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে আশ্বস্ত করেছেন।
এই বিভাগের আরও খবর...