আব্দুল মান্নান, শার্শা (যশোর) থেকে::
শার্শা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ম্যাকানিক শাহেদ আলী ও আবু তাহের মিজবাহর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আমলী আদালত যশোর দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছেন একই অফিসের কর্মরত ভিএস আহম্মদ আলী।
মামলার বিবরণে প্রকাশ উক্ত প্রতারক দু-ম্যকানিক শার্শা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বরাদ্ধকৃত আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল বসানোর অলিখিত চুক্তির মাধ্যমে ঠিকাদারের কাছ থেকে সাবকন্টাক গ্রহন করে।
মামলার বাদী আহম্মদ আলী, ম্যাকানিক শাহেদ আলী ও আবু তাহের মিজবাহ সহ ৩ জনের সম্মিলত ভাবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তার সহযোগিতায় শার্শার ১১টি ইউনিয়নে প্রতি অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল বোরিং, স্থাপন শেষে টিউবওয়েলের গোড়ার প্লাটফর্ম মিনার্ণ ও ট্যাঙ্কি স্থাপন সহ প্রতিটি কাজের সাবঠিকাদারি করে লক্ষ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত আয় করে থাকেন। এছাড়া তারা প্রত্যেকেই সরকারী কর্মচারী হয়ে সাব ঠিকাদারী কাজ করে আসছেন দীর্ঘদিন।
উপজেলা জন স্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তার প্রতক্ষ্য ও পরক্ষ সহযোগিতায় সরকারী কর্মচারীরা এধরনের কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। তাছাড়া ৫ই আগষ্টের পর ৩৬টি স্কুলের ওয়াসব্লক নির্মানের ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ার পর কর্মকর্তা নিজেই ঠিকাদারের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কার্য সম্পাদন করে বিল তুলে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। একই নিয়মে সাব ঠিকাদারীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিন কর্মচারী। যা নিয়ে বর্তমানে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আর এ কাজের অর্থযোগান দিয়েছেন আহম্মদ আলী।
তিনি এ প্রতিনিধির এক স্বাক্ষতকারে জানান শাহেদ ও আবু তাহের মিজবাহ কে ১৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন এবং তাকে লাভ্যাংশ প্রদান সহ নগদ টাকা পরিশোধ করার কথাছিল কিন্তু দির্ঘদিন যাবৎ টাকা পরিশোধ না করে ছলচাতুরী শুরু করে। ধুরন্দর শাহেদ চাপের মুখে আহম্মদ আলীকে এক লক্ষ টাকার সোনালী ব্যাংকের একটি চেক প্রদান করে।
গোপালগঞ্জ জেলার ভাটিয়াপাড়া শাখার চেক নং গঝ-১০২২১৫০৫৮, হিসাব নং ৩৪০২৩১১১। কিন্তু অদ্যবধি তার পাওনা কোন টাকাই পরিশোধ করেন নাই। আহম্মদ আলী বাদী হয়ে বিজ্ঞ আমলী আদালতে মামলা করায় আসামীরা তাকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।