শেখ নাদীর শাহ্ ::
খুলনার পাইকগাছায় রাস্তার দু’পাশে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা মৎস্য ঘেরে প্রতি নিয়ত গিলে খাচ্ছে রাস্তা। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার ন্যায় গদাইপুরের নিমাইখালী (সবুর রোড) সরকারি রাস্তাটিকে দু’পাশের ঘের মালিকরা বাঁধ হিসেবে ব্যবহার করায় অব্যাহত পানির চাপে সৃষ্ট ভাঙ্গনে ক্রমশ রাস্তাটি সংকুচিত হচ্ছে। স্থানীয়রা এরজন্য ঘের মালিকদের পরিকল্পনাহীনতাকেই দায়ী করছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের নিমাইখালী রাস্তার দু’ পাশে গড়ে ওঠা মাছের লিজ ঘেরগুলো এমন ভাবে করা হয়েছে যেন, সড়কই ঘেরের বেড়ি বাঁধ। অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে তোলা ঘেরের পানির ঢেউয়ের তোড়ে সড়কের বিভিন্নস্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ১৮ ফুট প্রসস্থ রাস্তার কোন কোন এলাকা সংকুচিত হয়ে মাত্র ৩ ফুটে নেমে আসায় রীতিমত সেখানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দূর্ভোগে পড়েছে ঐ রাস্তায় চলাচলকারী অন্তত ৩ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের নিমাইখালীর এ সড়কটি প্রায় ১৮ ফুট প্রসস্ত ছিল। ব্যস্ততম এ সড়কটি সাতক্ষীরার আশাশুনি হয়ে পাইকগাছা উপজেলার রাড়–লী, গদাইপুর, লতা ও দেলুটি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। তবে এ রাস্তার দু’পাশে কচুবুনিয়া, বয়রা, কুলতলা, ভেটকা, ঘোষাল মৌজায় কতিপয় মাছ চাষীরা রাস্তার পাশে বিকল্প রিংবাঁধ না দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের গড়ে তুলেছে। দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তাটিকে ঐসব ঘেরের বেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার করায় বছরের পর বছর পানির ঢেউয়ের তোড়ে রাস্তা ভেঙ্গে ঐসব ঘেরে নিমজ্জিত হচ্ছে। ফলে এর কোথাও কোথাও ১৮ ফুটের রাস্তা নেমে এসেছে মাত্র ৩ফুটে।
প্রয়োজনীয়তার কথা চিন্তা করে এর আগে গদাইপুর ইউপি পরিষদের উদ্যোগে রাস্তার অংশ বিশেষ ইটের সোলিং করে দিলেও অপরিকল্পিত মৎস্য ঘেরের কারণে কোথাও কোথাও তা ধ্বষে ঘেরে নিমজ্জিত হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হাসান জানান, নতুন করে ইউনিয়ন পরিষদ ওই রাস্তায় ইটের সোলিং করতে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও ১৮ ফুটের রাস্তাটি ভেঙ্গে কোথাও কোথাও ৩/৪ ফুটের অস্তিত্ব থাকায় কাজ শুরু করতে পারছেননা প্রকল্পের সভাপতি।
তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের মাসিক সমন্বয় সভায় সকল ঘের মালিকদের রাস্তার পাশে বিকল্প গাইড ওয়াল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হলেও ঘের মালিকদের কেউ নির্দেশনার প্রতি কর্ণপাত করেননি।
সর্বশেষ ভুক্তভোগী এলাকাবাসী নিমাইখালী রাস্তার দু’পাশে রিং বাঁধ দিয়ে ঘের করার ব্যবস্থা গ্রহনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।