1. admin@independentbd.news : admin :
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত কয়রায় দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন দেবহাটায় বাগদা চিংড়ি ভাগ্য ফেরালো আনারুলের কয়রায় সয়াপ্রোটিন বিস্কুট বিতরন কার্ডক্রমের উপর মত বিনিময় সভা সৈয়দপুরে হাজারীহাট স্কুল ও কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় বিএনপি নেতা এনামুল হকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন পাইকগাছা উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা ক্যান্সারের ভ্যাকসিন মিলবে ৬ মাসের মধ্যে ছাত্রদলকে শিবির সভাপতির কড়া বার্তা গাজায় আরও ৬ লাশ উদ্ধার, রাফায় ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

ভূমি অধিগ্রহণের টাকা পেতে জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার হয়রানির অভিযোগ

  • প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৬ বার পঠিত
saidpur-361

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর::

বৈধ কাগজপত্র ও দখল থাকার পরও অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানে গড়িমসি করছে নীলফামারী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল এ ( ল্যান্ড একুইজেশন ) শাখার কর্মকর্তা। ফলে চরম ভোগান্তি পড়েছে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকগণ।

তাদেরই একজন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. আব্দুল গফুর সরকার। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে এমন হয়রানির অভিযোগ তুলে ধরেছেন সংবাদকর্মীদের কাছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালীপুর সরকারপাড়ায় নিজ বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, ২০০২ সালে কামারপকুরের আইসঢাল গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে আকবর আলীর কাছ থেকে কামারপুকুর মৌজার জেএল নং- ৩১, ৫৮০ নং দাগে ২৮ শতক জমি খরিদ করি এবং তখন থেকেই ভোগ দখল করে আসছি। (যার দলিল নং-৪০৪১/২০০২)। কিন্তু দলিলে ভুলক্রমে দাগ নং ৪৮০ উল্লেখ হওয়ায় সংশোধনের জন্য সৈয়দপুর আদালতে মিস কেস করলে আদালত থেকে আমার পক্ষে রায় পাই। রায়ের পর সৈয়দপুর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সংশোধন ও খাজনা খারিজ সম্পাদন করে দেন।

সম্প্রতি ওই জমির ওপর দিয়ে নর্দান গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির পাইপ লাইন নেয়া হয়। ফলে ওই জমিটি অধিগ্রহণ করেন নীলফামারী জেলা প্রশাসন। কিন্তু অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে আমার পরিবর্তে আকবর আলীকেই রেকর্ডমুলে মালিক দেখানো হয় এবং তার উত্তরসূরীদেরকেই অর্থ প্রদানের উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার বলেন,আমি জেলা এলএ শাখায় লিখিত অভিযোগ দেই। এতে ওই শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা কাশপিয়া তাসরিন আমাকে ও আকবর আলীর ওয়ারিশদের তাঁর অফিসে ডেকে নিয়ে শুনানি করেন। এসময় প্রতিপক্ষ মিথ্যে তথ্য দিয়ে বলে যে ওই জমি বিক্রি করা হয়নি। তাছাড়া বিএস রেকর্ডে এখনও আকবর আলীর নামেই আছে এবং তাদের দখলেই আছে বলা হলেও তারা কোন কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেনি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমি দলিল, খারিজের ফটোকপি দিলেও ওই কর্মকর্তা তা গ্রহণ না করে আসল দলিল দেখতে চান। পরে দলিলের সঠিকতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে তা যাচাইয়ের জন্য সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে চিঠি দেন এবং দখল বিষয়ে নিশ্চিত হতে মাঠ পর্যায়ে তদন্ত টিম পাঠান। এতে দুইস্থানেই আমার মালিকানা সংক্রান্ত প্রমাণ ও কাগজ পান তিনি। কিন্তু তারপরও আবার তার অফিসে ডেকে পাঠান উভয় পক্ষকে।

এব্যাপারে গত ২৬ ডিসেম্বর আসল দলিলসহ অন্যান্য প্রমাণপত্রও উপস্থাপন করা হলেও প্রতিপক্ষ মিথ্যেচার করে এবং ওই কর্মকর্তা তাদের পক্ষেই অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তার অফিসে উপস্থিত প্রিন্সিপাল নামে আকবর আলীর এক শ্যালক স্বীকার করেন জমিটি আমার কাছে বিক্রি করেছে এবং তিনিই দলিলে সনাক্তকারী ছিলেন। এরপরও কর্মকর্তা কাশপিয়া তাসরিন বিষয়টির সুরাহা না করে ঝুলিয়ে রাখেন এবং আবারও উভয় পক্ষকে উপস্থিত হতে বলেন। এ প্রসঙ্গে আমি ওই কর্মকর্তাকে
কি কারণে আবার আসতে হবে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি। ওই কর্মকর্তা সামান্য বিষয়টিকে জটিল করার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার বলেন আমি একজন সাবেক কলেজ অধ্যক্ষ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, বর্তমান সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সভাপতি হয়েও সকল সঠিক কাগজপত্র থাকার পরও এতো হয়রানির শিকার হয়েছি। তাহলে সাধারণ মানুষ তার দ্বারা আরও কত যে হেনস্তা হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। এই দুর্ভোগের অপসারণ চাই। যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এমন হয়রানির শিকার না হয়। এ ব্যাপারে তিনি নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. নায়িরুজ্জামানের হস্তক্ষেপ কামনা করে হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, নীলফামারী জেলা প্রশাসকের এলএ শাখার এমন হয়রানির অভিযোগ আরও অনেকে করেছেন। এখানে টাকা না হলে কোন কাজ হয়না। টাকা দিলে কাগজপত্র ছাড়াও ক্ষতিপূরণের অর্থ পেলেও শুধু টাকা না দেয়ায় বছরের পর বছর ধরে ঘুরেও বৈধ কাগজপত্রের মালিকও অর্থ প্রাপ্তিতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।

খবরটি শেয়ার করুন...

এই বিভাগের আরও খবর...