শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি::
দীর্ঘ ১০ বছর পর পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছন যশোর জেলার কোতয়ালী থানার আবাদ কচুয়া রহিম পাড়ার মৃত আছমত মোল্লার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (খুকি)।
বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত যশোরে দায়ের করা মামলায় বিবাদী হিসেবে যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা হলেন এসআই জামান, এসআই শোয়েব, এসআই শেখ আজগর আলী এবং এসআই আমির আব্বাস।
বাদী তার অভিযোগে বলেন, তৎকালীন সময়ে উল্লেখিত আসামীরা গত ২৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখ রাত্রে মোঃ মজনুকে গ্রেফতার করে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দেওয়ার ফলে আসামীরা গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। তাকে অমানুষিক অত্যাচার ও নির্যাতন করিয়া মজনুর বাম পায়ে দুটি গুলি করে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি
হওয়ায় খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরবর্তিতে তাকে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। এক পর্যায়ে মজনুরের বাম পাটি কেটে ফেলতে হয়েছে। তৎকালিন সময়ে যশোর কোতয়ালী থানায় কর্মরত উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে চার নম্বর আসামী আমির আব্বাস বর্তমানে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে কর্তরত।
অভিযুক্ত আমির আব্বাস বলেন, মামলায় আমার নামে আসামী করা হয়েছে তা আদৌ সঠিক নয়। কারন নবায়ন কোর্স সম্পন্নর জন্য সুত্র চঐছ স্মারক নং ট্রেনিং/০২-২০২৪/নবায়ন/৫৭৪(২৯) তারিখঃ ২০ এপ্রিল ২০১৪ মূলে পিটিসি খুলনায় অনুষ্ঠিত ২০ এপ্রিল ২০১৪ হতে ১৪ মে ২০১৪ তারিখ পর্যন্ত ৮ সপ্তাহ মেয়াদি নবায়ন কোর্সে অংশ গ্রহন করে সাফল্ল্যের সহিত সম্পন্ন করেন মর্মে প্রত্যয়ন প্রদান করেন পুলিশ সুপার যশোর।
তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন আমার বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছে তা ষড়যন্ত্রমুলক ও ভিত্তিহিন। তাছাড়া বাদী ঘটনার তারিখে উল্ল্যেখ করেছেন ২৯ এপ্রিল ২০১৪। অফিসার ইনর্চাজ যশোর কোতয়ালী থানাকে যশোর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিটেট মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহন পূর্বক আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।