1. admin@independentbd.news : admin :
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
৪ ইসরাইলি নারী সেনার বিনিময়ে ২০০ ফিলিস্তিনি মুক্ত পাইকগাছা মৎস আড়ৎদারী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি জব্বার, সম্পাদক বেল্লাল ভারতে বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা শার্শা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সকলেই সাব-ঠিকাদার! কালিগঞ্জে বন্ধন হসপিটালের উদ্বোধনে ইউএনও অনুজা মন্ডল তালায় জলাবদ্ধতা নিয়ে সাংবাদিক কর্মশালা কয়রায় মাওলানা মিজানুরকে সভাপতি ও শরিফুল ইসলামকে সম্পাদক করে ইমাম পরিষদের কমিটি গঠন খর্নিয়ায় ডিপো থেকেই চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ, অজ্ঞাত কারণে নীরব প্রশাসন কপিলমুনি বায়তুস সালাম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কমিটি গঠন খুলনায় দূবৃত্তের গুলিতে খুবির শিক্ষার্থী নিহত

ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে ছাপা সংবাদপত্র রুগ্ণ শিল্প

  • প্রকাশের সময়: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪১ বার পঠিত
newspaper-39

বিশ্বজুড়ে সংবাদপত্র এখন আর সংবাদপত্র নেই। ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে ছাপা সংবাদপত্র এমনিতেই রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হয়েছে। করোনার সময় সব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা দেওয়া হলেও সংবাদপত্রকে কোনো প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিবেশ আমাদের নেই।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াব সভাপতি ও সদস্যদের সঙ্গে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় এসব কথা নোয়াবের সদস্যরা।

সভায় গত আন্দোলনে সংবাদ মাধ্যমের ব্যর্থতা ও বিতর্কিত ভূমিকার কারণে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তার পটভূমিতে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের স্বাধীনতার বিষয়ে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত হয়ে কীভাবে জনগণের স্বার্থে কাজ করা যায়– এ বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য গণমাধ্যমে সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধান আহ্বান জানান।

সভায় নোয়াব সদস্য ও ডেইলি স্টার প্রকাশক মাহফুজ আনাম বলেন, গণমাধ্যমের আইনগত কাঠামো ও পরিবেশ সবকিছু মিলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিবেশ আমাদের নেই।

নোয়াব সদস্য ও প্রথম আলোর প্রকাশক মতিউর রহমান জানান, বিশ্বজুড়ে সংবাদপত্র এখন আর সংবাদপত্র নেই। ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে ছাপা সংবাদপত্র এমনিতেই রুগ্ণ শিল্পে পরিণত হয়েছে। করোনা মহামারিতে ব্যাপকভাবে সার্কুলেশন ও বিজ্ঞাপন আয় কমে গেছে। বিগত ১৫ বছর ও তার আগের সরকার সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। অতীতের কোনো সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিতে পারেনি বলে তিনি মত প্রদান করেন।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেননি। তবে বিগত সরকার সংবাদপত্রকে শত্রু হিসেবে দেখেছে।

নোয়াব সদস্য ও নিউ এজের প্রকাশক শহিদুল্লাহ খান বলেন, পত্রিকার মিডিয়া তালিকাভুক্তি পদ্ধতি রাখার প্রয়োজন আছে কি না সে বিষয়ে ভেবে দেখা দরকার। প্রেস কাউন্সিলকে আধুনিকায়ন করা দরকার এবং এটিকে নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করতে হবে।

নোয়াব সদস্য ও দৈনিক বর্ণিক বার্তার প্রকাশক হানিফ মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমে সংস্কার কমিশনকে অন্য কোনো স্বার্থান্বেষী গ্রুপ ব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে বহু সম্পাদক এখন মামলার শিকার, পলাতক এবং তাদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে।

নোয়াব সদস্য ও দৈনিক সংবাদের প্রকাশক আলতামাস কবির বলেন, রাজনৈতিক পক্ষপাত থাকলেও স্বাধীন সাংবাদিকতা সম্ভব এবং তা নিশ্চিত করতে হবে।

নোয়াব সদস্য ও দৈনিক ফিনান্সিয়াল হেরাল্ডের প্রকাশক মাসরুর রেজা বলেন, সংবাদপত্র প্রকাশ ও অনুমতি প্রদানের ব্যবস্থাপনায় ক্ষমতার অপপ্রয়োগ হয়েছে। যা ভবিষ্যতে বন্ধ করার সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করার জন্য তিনি কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

নোয়াব সভাপতি ও সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ বলেন, প্রকাশক হিসেবে আমাদেরকেও হুমকি ও ক্ষতির স্বীকার হতে হয়েছে। করোনার সময় সব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা দেওয়া হলেও সংবাদপত্রকে কোনো প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। কমিশন সম্পাদকদের স্বাধীনতার জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করবেন বলে আশা করছি।

কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, কমিশনের কোনো স্বার্থান্বেষী দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অংশীজনের সুনির্দিষ্ট মতামতের ভিত্তিতে কমিশন তার সুপারিশমালা তৈরি করবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার স্বায়ত্তশাসন নীতিমালা প্রণয়নেও কমিশন সব মহলের মতামত গ্রহণ করবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, শামসুল হক জাহিদ, আখতার হোসেন খান, সৈয়দ আবদাল আহমদ, ফাহিম আহমেদ, জিমি আমির, মোস্তফা সবুজ, টিটু দত্ত গুপ্ত, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও বেগম কামরুন্নেসা হাসান।

খবরটি শেয়ার করুন...

এই বিভাগের আরও খবর...